মহামারি করোনায় প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। দশদিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। করোনার আগের ঢেউগুলোতে হাসপাতালে ছিল ব্যাপক চাপ। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। হাসপাতালগুলোতে সিংহভাগ আসনই এখন ফাঁকা।
ওমিক্রনের তীব্রতা কম থাকায় এবং মানুষের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক্ষমতা আর টিকা গ্রহণ করায় সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে চাপ আর মৃত্যুহার আগের ঢেউগুলোর তুলনায় অনেকটা কমে গেছে। তবে জানা গেছে, এই তৃতীয় ঢেউয়ে মারা যাওয়া ৭২ শতাংশই মানুষ নেননি টিকা। তাই টিকার বাইরে থাকা মানুষকে তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন মুন্সি বলেন, ‘ভাইরাসের একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট হচ্ছে, যতো সেটি প্রাণীদেহে যাবে বা কোষ পরিবর্তন করবে দিন দিন তার মধ্যে ক্ষতি করার ক্ষমতা কমে যাবে।
আবার কিছু সময় যাওয়ার পরই অনেকের মধ্যে তার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়’। বিশেষজ্ঞরা বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৫ সপ্তাহে করোনায় প্রাণ হারনোর মধ্যে ব্যক্তিদের ৭৩ শতাংশই টিকা নেননি। এখানো যেসব মানুষ টিকার আওতায় আসেনি, সে সব মানুষদের কেন্দ্র করে সচেতনতামূলক বিশেষ কার্যক্রম চালানোর তাগিদ তাদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।